শেখ হাসিনার কি প্রত্যাবর্তন হতে পারে?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। ৫ আগস্টের পর দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন তার বাধ্যগত আওয়ামী লীগ ও এই দলের মদদদাতা নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্যরা। এ ছাড়া পালিয়েছেন তাকে বিভিন্ন কাজে অনৈতিক সহযোগিতা করা আমলা, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ব্যবসায়ীরাও। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অপরাধীদের অনেকে দেশের মধ্যে হয়েছেন গ্রেপ্তারও।
যদিও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর প্রধানের দায়িত্বে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে বিভিন্ন কমিশন গঠন করে তারা দেশ সংস্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টিতে যৌক্তিক সময় দিতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন দেশের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনা বা তার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কি না, করতে পারবে কি না—তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।
এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে অসম্ভব্য প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন’ শিরোনামে করেছে বিস্তারিত প্রতিবেদন।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা সবাই কোটা আন্দোলন দেখে অবাক হয়েছিলাম। আসলে আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০ শতাংশ কোটা বেশি হয়ে যায়; আমাদের এটি কমিয়ে পাঁচ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত। তখন একজন মন্তব্য করেন, আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। আমি মজা করে বলেছিলাম, এজন্যই তো আমি পাঁচ শতাংশ রাখতে বলেছি!’
শেষ পর্যন্ত কোটা ইস্যু অগ্নিশিখার মতো বৈষম্য ও রাজনৈতিক দমনপীড়নের প্রতি বাংলাদেশের জনসাধারণের ক্ষোভকে উসকে দেয়। জুলাই মাসে এই অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের সহিংসভাবে দমন-পীড়নের ফলে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়। দেশের মাটিতে হাসিনাকে শেষবারের মতো একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ওঠাতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা তার সরকারি বাসভবন দখল নেয়। হাসিনা সেদিন ভারতে পালিয়ে যান এবং এখন পর্যন্ত সেদেশেই অবস্থান করছেন এবং জনসম্মুখের আড়ালে থেকে নিজের ক্ষত সারানোর চেষ্টা করছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) দেশের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই হতাশ। কারণ গত ১৫ বছরে তার সব পরিশ্রম প্রায় বিফলে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশে এখন একটি বড় ধরনের হিসাব-নিকাশ চলছে। ১৫ বছরের অপ্রতিরোধ্য শাসনের সময় হাসিনার দল আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজনীতিকরণ করেছে। এর ফলে সেনাবাহিনী, আদালত, জনসেবা ও বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মানুষের গভীর অবিশ্বাস জন্ম দিয়েছে।
১৭ কোটির বেশি জনসংখ্যা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের পুনর্গঠনের দায়িত্ব পড়েছে ছাত্রনেতা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর, যারা হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাসিনার শাসনামলে তার বিরুদ্ধে শতাধিক রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা অনুষ্ঠিত হতে অন্তত ১৮ মাস সময় লাগতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনি ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং জাতীয় সংবিধানসহ একটি ছয় দফা সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। ২৬ আগস্ট এক টেলিভিশন ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, ‘দুর্নীতি, লুটপাট এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি দায়বদ্ধ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই এই সংস্কারের উদ্দেশ্য। যদি আমরা এখন সুযোগ হারাই, আমরা জাতি হিসেবে পরাজিত হব।’
হাসিনার বিদায়ের পর কয়েক সপ্তাহ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা শূন্যতার কারণে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বস্তরে নির্মূল করা হয়েছে এবং এর সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজনকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সরানো হয়েছে, অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। হাজারও পুলিশ সদস্য আত্মগোপনে চলে গেছেন, যাতে জনরোষের শিকার না হন (অন্তত ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন)।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেত্রী খালেদা জিয়া গৃহবন্দি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দেশের প্রধান ইসলামপন্থি দল জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসিনার পতনের উচ্ছ্বাস এখন দেশ কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
৩১ সেপ্টেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সরকারের পক্ষ থেকে পাঠ্যবই পর্যালোচনার জন্য গঠিত একটি কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্তকে ইসলামি মৌলবাদীদের সঙ্গে ‘গুরুতর এবং বিপজ্জনক’ আপস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এর জবাবে, ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতারা এসব উদ্বেগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারে কোনো রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি না থাকায় নতুন নির্বাচনের দাবি আরও জোরাল হবে। ‘এই সরকারের বৈধতা আছে, জনসমর্থন আছে, কিন্তু জনপ্রতিনিধিত্ব নেই,’ বলেছেন নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষক মুবাশ্বার হাসান।
সংস্কারকরা সত্যিই জটিল এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন। কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং দুর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনতে সময় লাগবে। কিন্তু যে দেশে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে খুব শীঘ্রই জনগণ ধৈর্য হারাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণে গত সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.১ শতাংশ করেছে।
জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়নি বলে উল্লেখ করেছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০২২ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে ১৪৭তম অবস্থানে ছিল এবং তালেবানশাসিত আফগানিস্তানের এক ধাপ ওপরে ছিল। সংস্কারপন্থিদের আশঙ্কা দেশকে দ্রুত সংস্কারের দিকে নিয়ে যেতে না পারলে আওয়ামী লীগ আমলের এসব দুর্নীতির স্মৃতি সাধারণ মানুষের স্মৃতি থেকে ফিকে হতে শুরু করতে পারে।
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘হাসিনার প্রত্যাবর্তন অনেকাংশেই সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাস ঘাঁটুন। দেখবেন, পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে দেউলিয়া মনে হলেও এ দলগুলোকে একেবারে বাতিলের খাতায় ফেলতে পারবেন না।’ তবে অন্য পর্যবেক্ষকরা হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কুগেলম্যানের মতো এত আত্মবিশ্বাসী নন। সারা বাংলাদেশে হাসিনার পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে, বিকৃত করা হয়েছে। তাকে স্বৈরাচার হিসেবে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ‘তরুণ প্রজন্ম হাসিনার লিগ্যাসিকে এভাবেই দেখছে,’ বলেন মুবাশ্বার।
জয় বলছেন, হাসিনা নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য দেশে ফিরবেন কিনা, সে বিষয়ে ‘কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম যদি স্থবির হয়ে পড়ে, তাহলে যে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সুযোগ বাড়বে, সে বিষয়ে সবাই একমত। ঢাকাভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের মতে, ‘আগামী দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হাসিনা ও তার দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হলে এই প্রেক্ষাপট বদলে যেতে পারে।’
আর ব্যাপক রাজনৈতিকীকরণ হওয়া আমলাতন্ত্র আদতেই সংস্কার বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শহিদুল হক। তিনি বলেন, সংস্কারে বাধা দিতে হেন প্রচেষ্টা নেই, যা এই প্রশাসন করছে না। ‘তারা এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আর দৃশ্যমান কোনো উন্নতি না হলে মানুষ ধৈর্য হারাবে।’ আর জয় এই আশাতেই আছেন। বর্তমান ‘আইনবিহীন’ পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি এক বছর বা ১৮ মাস দেশ পরিচালনা করতে চায়, তাহলে ঠিক আছে।’
হাসিনার পতনের পর পুলিশ ও সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক হামলার অভিযোগ উঠলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। ‘কোনো দাঙ্গা হয়নি। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বড় আকারের আক্রমণ দেখিনি’, বলেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি।’ তবে অচলাবস্থা যত দিন চলতে থাকবে, ততই নতুন বয়ান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। মিনাক্ষী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের উচিত ভুল স্বীকার করা এবং নির্বাচনে লড়ার জন্য একটি গণতান্ত্রিক দল হয়ে ফিরে আসা।
যদিও জয় তার মায়ের দমন-পীড়নের কিছু ভুল স্বীকার করেন, মৃতের সংখ্যা নিয়েও তর্ক করছেন না। তবে তিনি জোর দাবি জানিয়েছেন, অন্তত অর্ধেক হত্যাকাণ্ড ‘জঙ্গিরা’ ঘটিয়েছে; যারা সম্ভবত ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা’ থেকে অস্ত্র পেয়েছিল। তবে জয়ের এই দাবির সপক্ষে বলার মতো কোনো প্রমাণ নেই। মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং আন্দোলন দমনের আদেশ দেয়ার অসংখ্য ভিডিও রয়েছে।’
দলের নিজ সদস্যদের মধ্যেই সমর্থন ধরে রাখতে পারাটা এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দলের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ফলে সাধারণ সদস্যদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ এবং ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলটিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এ দাবি জয়ের কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। টাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটি আইনিভাবে সম্ভব নয়।’
এমনকি সংস্কারপন্থিরা এবং বিরোধী দলগুলোও নিশ্চিত নয়, একসময় ব্যাপক তৃণমূল সমর্থন পাওয়া একটি দলকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় স্বার্থের কোনো লাভ হবে কিনা। বর্তমানে মূল লক্ষ্য গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা প্রবল রাজনৈতিক প্রতিশোধের এই চক্র থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা। তবে কুখ্যাত এবং প্রতিশোধপরায়ণ হাসিনার অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব কিনা, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল শেখ হাসিনাকে কাল্ট চরিত্র হিসেবে দাঁড় করানো। তারা শেখ মুজিবের কন্যার বিকল্প ভাবতেও পারে না।’ শেখ হাসিনার বিকল্প জয় হতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর বলেন, ‘তিনি যদি বাংলাদেশের জনগণের নেতা হিসেবে নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলতে না পারেন, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।’ জিল্লুরের এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গবেষক মুবাশ্বার বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে তার (জয়) প্রতি শ্রদ্ধা ও আকর্ষণ নেই। আর মানুষের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে জয় এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি রাজনীতিতে আসবেন কি না। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার কখনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, কে জানে? আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’