এনবিআরের কমিশনার হলেন কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাস
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কমিশনার (কাস্টমস) হলেন কথাসাহিত্যিক ও জনপ্রিয় গোয়েন্দা লেখক অরুণ কুমার বিশ্বাস। বুধবার (৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
২০০৩ সালে ২২তম বিসিএসে তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। সেখান থেকে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে সবশেষ অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন।
অরুণ কুমার বিশ্বাস পেশায় সরকারি কর্মকর্তা হলেও নেশা তাঁর লেখালেখি। বিশেষ করে গোয়েন্দা লেখক হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে একটি নিজস্ব ভাষাশৈলী ও পাঠকমহল তৈরি করেছেন। তাঁর লেখালেখির শুরু কলেজে পড়াকালীন।
অরুণ কুমার বিশ্বাস বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে কলামের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য লিখছেন ছড়া, গল্প, অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস, ভুতুড়ে ও গোয়েন্দা কাহিনী। পেশাগত কাজের ফাঁকে তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রম্য ধাঁচে নিয়মিত কলাম লিখছেন। রম্যরচনা ও কিশোর অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ে তার লেখাজোখা প্রচুর। তবে তিনি গোয়েন্দাগল্পের বিশেষ ভক্ত। ‘ফেলুদা’র মতো একটি চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত গোয়েন্দা চরিত্র ‘অলোকেশ রয়’তাঁর সৃজিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ, যাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘জলপিপি’, ‘কফিমেকার’, ‘আলিম বেগের খুলি’, ‘অনল মিত্রের অপমৃত্যু’, ‘সাইকোপ্যাথ’, ‘গুপ্তি’বিশেষ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। আরও আছে ‘গোয়েন্দা গুবলু’।
তাঁর প্রচেষ্টায় ডিটেকটিভ ক্লাব নামে একটি গোয়েন্দাগল্প লিখিয়ে প্লাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। এসেছে আমাদের গোয়েন্দা শিরোনামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা। লেখকের এ পর্যন্ত লেখা গ্রন্থের সংখ্যা দেড়শ ছুঁই ছুঁই। স্ত্রী ডা. তপতী মণ্ডল। দুই ছেলে অনিকেত ও অগ্নিশ। তারাও লেখালেখি করেন। পুরো লেখক পরিবার। তিনি নটরডেম কলেজ থেকে মেধার স্বীকৃতিসূচক ‘অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স’, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘সার্টিফিকেট অফ ডিসটিঙশন’এবং ‘স্পাই’ উপন্যাসের জন্য চ্যানেল আই প্রবর্তিত ‘এসিআই-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৮’লাভ করেন। এ বছর পেলেন ‘জিগীষা সাহিত্য সম্মাননা’।
অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্ম গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের জহরেরকান্দি গ্রামে। বাবা বঙ্কিম চন্দ্র বিশ্বাস ও মা মালতী দেবী। নটরডেম কলেজ থেকে এইসএসসি শেষ করে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় তিনি পুনরায় মাস্টার্স করেন লন্ডনে।