গয়েশ্বর চন্দ্রর সঙ্গে দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় গণধিকার পরিষদ নেতাদের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুরে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে সাংবাদিকদের রাশেদ খান বলেন, আমরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুণ দিদির আমন্ত্রণে এসেছি। আমরা এর আগেও এসেছিলাম। নিপুণ দিদি একজন ইয়াং পলিটিশিয়ান। আমরাও এই নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতি করছি। তাঁর রাজপথে সংগ্রামী ভূমিকা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উৎসাহ জুগিয়েছে। আমরাও ১৮ সাল থেকে জাতির জন্য দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
রাশেদ খান আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, সব থেকে বড় কথা হলো এখানে যারা বসবাস করি সবাই বাংলাদেশি। আমরা হতে পারি কেউ হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, কিন্তু আমাদের মাঝে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সেটা সবসময় ছিল, আছে এবং থাকবে। এখানে কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কোনো দাঙ্গা ও হাঙ্গামা হয় না। যেটা আমরা ভারতে দেখি মুসলমানদের উপর এক ধরনের হামলা, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র চলে। এই দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যেভাবে তাদের উৎসবগুলো পালন করে—এটা কিন্তু অন্য দেশে হয় না। এই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে একটি ষড়যন্ত্র ছিল, সেই ষড়যন্ত্র এ দেশের মুক্তিকামী জনতা, যারা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছে তারা রুখে দিয়েছে।
রাশেদ খান আরও বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন প্রয়োজনে মাদ্রাসা ছাত্ররা মন্দির পাহাড়া দিবে। আলেমরাও বলেছেন, প্রয়োজনে আমরা মন্দির পাহারা দেব। হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, মন্দিরে ভাঙচুর চালানো কখনোই আমরা মেনে নিব না।
এ সময় সেখানে উপস্থিতি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।