ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিশু বাসিত খান মুসাকে নেওয়া হলো সিঙ্গাপুরে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু বাসিত খান মুসাকে (৭) উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে মুসার চিকিৎসা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
মুসাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহায়তা করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশের সাধারণ মানুষ মুসার চিকিৎসায় অর্থসহায়তা দিয়ে পাশে থেকেছেন।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে নেমে দাদি মায়া ইসলাম (৬০) ও মুসা গুলিবিদ্ধ হয়। মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। আর মাথায় বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় মুসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সংকটাপন্ন মুসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচের নিউরোসার্জারি বিভাগে (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) স্থানান্তর করা হয় গত ২৬ আগস্ট। আর গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের শিশু নিউরোলজি বিভাগে। সিএমএইচে মুসা মূলত জ্যেষ্ঠ নিউরোসার্জন অধ্যাপক কর্নেল মো. আল আমিন সালেক এবং পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁরা মুসাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সিএমএইচ থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে শিশু মুসাকে নিয়ে রওনা হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের যে দলটি মুসার চিকিৎসা করবে, তাঁদের একজন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে এসেছেন। তাঁকে মুসার চিকিৎসার সব কাগজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় আনুমানিক ৫০ দিনের জন্য চিকিৎসা হবে। মুসার সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।’
অধ্যাপক নাজমুল হামিদ বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা মুসার বিষয়ে খুবই আগ্রহী। তাঁরা এ পর্যন্ত মুসা কী কী চিকিৎসা পেয়েছে, তার খুঁটিনাটি জেনে নিয়েছেন। সময়ে–সময়ে মুসার চিকিৎসার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক ও সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে।’