ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা খুশি হয়েছি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। এটা খুবই দুঃসাহসিক কাজ। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আমরা আপত্তি করছি না। আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে তখন আমরা কি করবো।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাগ্রত বাংলাদেশ নামের এক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
কিন্তু যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে তখন আমরা কি করবো এমন প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর অনেক লোককে ফাঁসি দিয়েছে এবং অত্যাচার করেছে শেখ হাসিনা। জামায়াতে ইসলামী কিন্তু হাসিনার মতো একটা ফ্যাসিবাদীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। তাই বলছি, পাপকে ঘৃণা করেন পাপীকে না।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘যারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে মানুষকে হত্যা, ঘুম, নির্যাতন করেছে তারাতো আরামে আছে। তাদেরকে ধরে ধরে বিচার করেন। অন্যায় করলে তার পরিণাম কি হয়, সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।’
“গণঅভ্যুত্থানের পর এতগুলো লোক সীমান্ত অতিক্রম করল, বিদেশে চলে গেলো, হারুনের মতো লোক আমেরিকা চলে গেলো কার সাহায্যে। কে তাদেরকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এর জবাব কার কাছে চাইব। কে দেবে এই জবাব। যারা ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে, তারা সেখানে গেলো কীভাবে। অপরাধীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় না দাঁড় করিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ কারা করে দিল। এর জবাব কি সরকার দেবে” এমন মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জনগণতো তাদেরকে আল্লাহ ভগবানের মতো বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যদি অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকতে চান, তাহলে তখন আমরা অবিশ্বাস করবো কীভাবে। আমরা কিছুদিন দেখি, এরপরে অতীতে যা করেছি ভবিষ্যতেও তা করবো। আমরা যেহেতু মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি, তাহলে আমাদেরকে মারতে আর পারবে না। এ সরকার আমাদের বিশ্বাস ও জনগণের আস্থা ভঙ্গ করুক সেটা চাই না।’
নির্বাচন করার জন্য যতটুকু সময় দেওয়া দরকার আমরা ততটুকু সময় দিব উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন করার জন্য যতটুকু সময় দেওয়া দরকার আমরা ততটুকু সময় দিবো। সে সময়টা অতিক্রম হয়ে গেলে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘরে বসে থাকবে না। অতীতে রাজপথে থেকে তেমনভাবে সংগ্রাম করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। আমরা শুধু একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চাই।’
জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও হাবিবুর রহমান হাবিব বক্তব্য দেন।