আশুলিয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাস্কফোর্স
আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে কয়েকটি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্স। পাশাপাশি বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসড়কে স্থাপিত ১২৩টি রোড ব্লক অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্সের প্রচেষ্টায় ফ্যাক্টরি মালিক ও শ্রমিকদের সাথে সফল আলোচনার ফলে ৫৬টি কারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ সকল কার্যক্রম ছাড়াও টাস্কফোর্স বিভিন্ন কলকারখানার বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা; মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলাদাভাবে আলোচনার পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নীতিনির্ধারকদের সাথে সমন্বয়ে কাজ করেছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের আবাসিক এলাকা ও বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত মাইকিংসহ নানাবিধ প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সাভার সেনানিবাসে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সরেজমিনে বেশ কয়েকটি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমও প্রত্যক্ষ করেন তারা। এ সময়ে শিল্প-কারখানায় উৎপাদনমুখর পরিবেশ দেখে প্রতিনিধি দল সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং জাতীয় উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্স গত ৯ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাভার-আশুলিয়া এলাকায় ৯৭টি, গাজীপুরে ৩৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৬টিসহ সর্বমোট ১৩৬টি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানের মাধ্যমে মালিক, শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যদেরকে বিক্ষুব্ধ দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চলে নাশকতা সৃষ্টিকারী ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।