১০ দিন ধরে বাড়েনি ডিমের দাম, সামান্য স্বস্তি সবজিতে
বাজারে হাঁস, মুরগি ও কোয়েল পাখির ডিমের দাম গত ১০ দিন ধরে প্রায় অপরিবর্তিত। তবে, এর মধ্যে হাঁস ও কোয়েল পাখির ডিমের দাম ডজনে কখনও পাঁচ টাকা বেড়েছে, কখনও কমেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ডিমের দোকানগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এদিকে, ক্রেতারা বলছেন, সবজিতে সামান্য স্বস্তি ফিরেছে। যদিও মুরগির দাম কমেনি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা মজিবুর রহমান জানালেন, ১০ দিন ধরে কোনো ডিমের দাম বাড়েনি। তবে, একই বাজারের রাসেল নামের আরেক বিক্রেতা জানান, মূলত, গত ১০ দিনেরে বেশি আমি প্রায় একই দামে বিক্রি করছি। তবে, হাঁস ও কোয়েল পাখির ডিমের দাম হালিতে কখনও পাঁচ টাকা করে ওঠানামা করেছে।
মজিবুর রহমান আজ শুক্রবার হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ২১০ টাকা। আর তিনি পাইকারী বাজার থেকে ডজনপ্রতি কিনেছেন ১৯৮ টাকা দরে। এক ডজন কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করছেন ৪৫ টাকা। এক ডজন কিনেছেন ৪০ টাকায়। পল্ট্রির ডিম ১৪৪ টাকা ডজন বিক্রি করছেন। একই ডিম কিনেছেন ১৩৩ টাকা ২০ পয়সায়। আর দেশি মুরগির ডিম ডজন বিক্রি করছেন ২২৮ টাকা। একই ডিম কিনেছেন ২২২ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, আজ বেগুন ৭০ টাকা, তাল বেগুন ১০০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, ধুন্দল ৫০, চিচিঙ্গা ৬০, দেশি টমেটো ১৫০ টাকা ও ভারতের টমেটো ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
আমির হোসেন জানান, মরিচ ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কুমড়া ৬০ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও কচুর মুখী ৪৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছড়া ফুলকপির জোড়া ৬০ থেকে ৮০ টাকা, একটি লাউ ৪০ টাকা, পাতাকপি ৪০ টাকা পিস ও এক হালি লেবু দাম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব সবজি প্রায় একই দামে বিক্রি করছেন ফয়সাল আহম্মেদ নামের আরেক বিক্রেতাও। তবে, কোনো কোনো সবজি আকার ভেদে দু-পাঁচ টাকায় কম বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারে।
ক্রেতা নাহিদ ইসলাম জানান, শীতের সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এসব সবজির দাম বেশ চড়া। শিমের দাম সব থেকে বেশি। তা ছাড়া ফুলকপি ও বাধাকপির দামও কম না। যদিও অন্যান্য সবজিতে আগের তুলনায় সামান্য স্বস্তি ফিরে এসেছে।
নাহিদের মতোই জানালেন রেজাউল ইসলাম, তুষার আহসান। তারা বলেন, সপ্তাহখানেক আগে মরিচ, আলু ও সব ধরনের সবজির দাম এতোটাই বেড়েছিল যে তা ছোঁয়ার মতো ছিল না। পেঁপের দামটাই ছিল নাগালে। এখনও খুব যে কমেছে, তা না। তবে, আগের তুলনায় কম। যদিও মুরগির দাম কমেনি।