কোনো স্বৈরাচারের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না : ডা. জাহিদ
‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে। জনগণ ক্ষমা করলেই রাজনীতি করতে পারবে। আর কোনো স্বৈরাচারের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না।’
আজ রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে এ মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহীদ জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর; ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনের মূলমন্ত্র” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলেন প্রথম সমর্থন দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রথম বৈষম্যের শিকার হন। তাঁকে ডিঙিয়ে কয়েক ধাপ জুনিয়রকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। তাই বিএনপি কোনো বৈষম্যে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বৈষম্যে বিশ্বাস করে না বলেই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, সমতল—সবাই এক। কোনো ভেদাভেদ করে না। তাই তিনি দিয়েছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ১১ মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। তাদের জনগণের প্রয়োজন হয় না।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে চারটি রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করার। আর পতিত স্বৈরাচারের ইতিহাস হচ্ছে তারা বলে এক করে উল্টোটা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তখন তাঁর দুটি নাবালক ছেলে ছিল, স্ত্রী ছিল। তিনি পরিবারের কথা না ভেবে দেশকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ।
ডা. জাহিদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাই মুক্তিযুদ্ধের দল। দেশপ্রেমিক, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের দল। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে আত্মসমর্পণের দল। পলায়নের দল। কম্বল চোর, ব্যাংক লুটেরার দল। গুম খুন ও পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যাকারী দল। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা করে দেওয়ার দল, বাসন্তি তৈরির দল। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের ১৭ লাখ কোটি টাকা লুটের দল।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগের উদ্যোগে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো শাহজাহান। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে ৭ নভেম্বর নিয়ে একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।