অগ্নিকাণ্ড কমাতে নাগরিকের সচেতনতা বেশি প্রয়োজন : তাজুল ইসলাম
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমাতে নাগরিকের সচেতনতা বেশি প্রয়োজন। কারণ সচেতনতার অভাবেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, যানজটের কারণে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের অগ্নিনিরাপত্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে, কুয়াশাও থাকে জানিয়ে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এরপরও আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটে শীতেই। কারণ শীতের ঠান্ডা বা কুয়াশা আগুন ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে না। উল্টো শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়ায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনা কমাতে নাগরিকের সচেতনতা বেশি প্রয়োজন। কারণ সচেতনতার অভাবেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে।
পরিচালক আরও বলেন, ফায়ার ফাইটাররা সবসময় প্রস্তুত থাকেন। ফায়ার কন্ট্রোলরুমে আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু যানজটের কারণে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। আবার অনেক সময় স্থানীয় লোকজনের ভিড়ে ঘটনাস্থলে পৌছাতে অসুবিধায় পড়তে হয়। এছাড়া অসম্পূর্ণ তথ্যের কারণেও আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় সব খাল, নর্দমা, পুকুর ও ঝিল ভরাট হয়ে গেছে। বেশির ভাগ ভবনে থাকে না পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা। অনেক সময় পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া প্রধান ও প্রশিক্ষক শাহজাহান শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৪০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। দিনব্যাপী কর্মশালায় আগুন লাগার কারণ, নিয়ন্ত্রণের উপায় ও কৌশল হাতে কলমে শেখানো হয়।
এতে বক্তব্য দেন ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান) এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃধা, সাঈদ শিপন, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও মো. শরীফুল ইসলাম।