জুরাইনে অটোরিকশাচালকদের অবরোধের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বেলা ১১টা থেকে রেললাইন দখল করে অবরোধ শুরু করেন। এতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, ঘণ্টা খানিক হলো, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) শ্যামপুর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাজমুন নাহার জানান, ১১টা থেকে রেললাইন দখল করে অবরোধ শুরু পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ওই এলাকা থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র অবস্থান নেন।
এসব কারণে কমলাপুর শহরতলি স্টেশনে ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনা রুটের যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। তবে, বেলা ৩টার কিছু আগে থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, জুরাইন এলাকায় অটোরিকশা চালকরা ১১টা থেকে রেললাইন দখল করে অবরোধ শুরু করেন। এর ফলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জ রুটে কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারছিল না। তবে, আবার শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
এস আই নাজমুন নাহার জানান, পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশা চালকদের অবরোধের কারণে ছয় ঘণ্টা ধরে ট্রেন এবং অন্য সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল, যা যাত্রীদের জন্য ভীষণ দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিল।
গত সোমবারও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেললাইন অবরোধ করেছিলেন। সেই সময় দুর্বৃত্তরা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করায় অনেক যাত্রী আহত হন এবং ট্রেনের অনেক ক্ষতি হয়।
১৯ নভেম্বর ঢাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাই এটি অবৈধ।
এর পরদিন রিকশাচালকরা সড়কে তাদের চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে দয়াগঞ্জ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।