যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। এই ঢাকা মহানগর ও ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে। এই মহান দায়িত্ব থেকে আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কল্যাণ সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন পদবীর পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার।
কল্যাণ সভায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো পুলিশ অফিসার হতে হলে ভালো মানুষ হওয়ার বিকল্প নেই। আর ভালো পুলিশ অফিসারের পক্ষেই সম্ভব মানুষকে উত্তম সেবা দেওয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ হচ্ছে সরকারের সবচেয়ে দৃশ্যমান সংস্থা। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। জনগণ আমাদের শত্রু নয়, আমরা জনগণের বিরুদ্ধে যেতে চাই না। আমরা এদেশের মানুষকে নিয়ে একত্রে মিলেমিশে কাজ করতে চাই।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, নগরবাসীকে সর্বোচ্চ নিরাপদে রাখার জন্য টিম ডিএমপির সকল সদস্য কাজ করে যাচ্ছে। ডিএমপির সকল সদস্যকে আরও আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকলকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। টিমের যিনি নেতা হবেন তার সাথে ওই টিমের সকল সদস্যের একটি আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যেকোনো প্রয়োজনে একজন সদস্য আরেকজনের পাশে দাঁড়াবে।
ডিএমপিতে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে পরিচিত হতে ও তাদের সুবিধা-অসুবিধা এবং নানা বিষয়ে তাদের পরামর্শ শুনতে এ কল্যাণ সভার আয়োজন করা হয়। কল্যাণ সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যগণ তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য ও পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের নিকট তুলে ধরেন। কমিশনার সকলের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন ও কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান প্রদান করেন এবং অন্যান্য বিষয়সমূহ দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সকলকে আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন ডিএমপি কমিশনার। পরে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে নিয়ে মোনাজাত করা হয়।
কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ; উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।