শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি, থানায় জিডি
জুলাই আগস্টের ঘটনায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ ২৮২ জনের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে মামলার বাদী এ কে এম শাহরিয়ার শুভ তেঁজগাও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডির বিবরণ থেকে জানা গেছে, বাদী সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ২৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলা ঢাকার সিএমএম আদালত তদন্ত করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরে আসামি সাইফুজ্জামান (চুন্নু) ও আহসান হাবীব মামলার বাদী শাহরিয়ার শুভ ও তার পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেন। এ ঘটনায় বাদী রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গত ২৫ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন।
হুমকির শিকার মামলার বাদী শাহরিয়ার শুভ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে জিডি করেছি। জিডিটি বর্তমানে তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও এ জিডির তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শাহরিয়ার শুভ নামের এক ব্যক্তি জিডিটি করেছেন। জিডির ভেতরে মামলা নম্বর থাকলেও মামলার বিষয়বস্তু লেখা নেই। ফলে, আমি ঘটনাটি ভালোভাবে জানার জন্য জিডির বাদীর মুঠোফোনে কল দিই। গতকাল রাতেও তাকে আমি কয়েকবার কল দিয়েছি। কিন্তু, তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ। তার সঙ্গে আমারও যোগাযোগ করার দরকার।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হত্যার জন্য শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা করেন। এজাহার নামীয়দের সরাসরি নির্দেশে সশস্ত্র আসামি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, গাজী মেসবাউল হক সাচ্চুসহ আওয়ামী লীগ পেশাজীবী সংগঠন ও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীরা ঘটনাস্থলের পাশে জড়ো হন। তাদের সঙ্গে অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জন ধারাল দেশীয় অস্ত্রসহ অংশগ্রহণ করেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালালে বাদীর পাশে দাঁড়ানো কামাল মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাদরাসা পড়ুয়া তার সন্তানের জন্য পোশাক ও খাবার নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বাদী গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ২৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, শেখ রেহেনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান প্রমুখ। মামলা দায়েরের পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদ মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।