শেখ হাসিনার হাজার বছর জেল হওয়া উচিত : সোহেল
‘শেখ হাসিনা ১৬ বছর জোর-জবরদস্তি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছেন। শুধু এই একটি কারণেই তাঁর হাজার বছরের জেল হওয়া উচিত।’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন হাবিব উন নবী খান সোহেল।
ভারতকে উদ্দেশ করে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, অন্যের দিকে চোখ তোলার আগে আপনাদের দেশের কী অবস্থা তার দিকে তাকান। বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার মতো ভুল করবেন না। অন্যের দিকে আঙুল তোলার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। না হলে কিন্তু ওই আঙুল আমরা কেটে দিব। খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এর আগে ১৬ বছর পুতুল করে নাচিয়েছেন। সেই পুতুলের নেশা আর কাটে না। গণতন্ত্র হত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছেন আপনারা। আমরা যদি আপনার দেশের খুনিদের আশ্রয় দেই বিষয়টা কী দাঁড়াবে?
সোহেল আরও বলেন, কোথায় এখন ওবায়দুল কাদের, কোথায় শেখ হাসিনা? বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করেছিলেন। উনি তো বাড়িছাড়া, আপনারা তো দেশ ছাড়া। এখন আবার অনেকে লিখে, ‘আপা আসছে।’ আসবেন তবে সব রক্তের হিসাব দিয়ে আসেন। কাজেই আসার সুযোগ নেই। যারা পলিটিক্যালি ডেড। যাদের পলিটিক্যাল চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গেছে, তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।
দীর্ঘ ২০ বছর পর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা শহরের উচ্চ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সদর উপজেলা বিএনপির এই দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।
এর আগে সকাল থেকেই সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। বেলা ১টার মধ্যেই পুরো সম্মেলনস্থল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে যায়। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় ও বিএনপির দলীয় সঙ্গীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গাওয়া ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৪টার দিকে কণ্ঠ ভোটে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলকে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মো. ইসরাইল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও মো. ইসরাইল মিয়া।