সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয় : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বহির্গমন রোধ, সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধান, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয়।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস’ উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ উপলক্ষে তিনি এ বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবির রয়েছে বীরত্ব, ঐতিহ্য ও গৌরবমণ্ডিত সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদার বাহিনী ঢাকার পিলখানাস্থ তৎকালীন ইপিআর সদর দপ্তরে আক্রমণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিজিবির যে সদস্যরা আত্মত্যাগ করেছেন, আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বিজিবির সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধসহ দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বাহিনীর দক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব জন-আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে বিজিবির সদস্যরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন।