বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত প্রধান সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক। গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অবকাঠামো, জলবায়ু সহনশীলতা, সেবা প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে সহায়তার জন্য আবদুলায়ে সেককে ধন্যবাদ জানান।
আবদুলায়ে সেক প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, বিশ্বব্যাংক ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীতে স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পানি ও স্যানিটেশন সেবার উন্নতির পাশাপাশি জলবায়ুর সহনশীলতা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য তিনটি অর্থায়নে প্রায় ১২০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।
গত রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৯০ কোটি ডলারের দুটি অর্থায়ন সই হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্প দক্ষিণে কক্সবাজার থেকে উত্তরে পঞ্চগড় পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর বরাবর জলবায়ু-সহনশীল এবং জেন্ডার-প্রতিক্রিয়াশীল অবকাঠামো নির্মাণ করে সেকেন্ডারি শহরগুলোর উন্নয়ন করবে। অন্য অর্থায়ন, সবুজ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য ৫০ কোটি ডলারের উন্নয়ন নীতি ঋণ, এই মাসের মধ্যে জাতীয় কোষাগারে বিতরণ করা হবে।
১৯৭২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন পোর্টফোলিও দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন গতিপথে বিশেষ করে দারিদ্র্য হ্রাস, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়া সেকের ও এবং তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।