চক্রান্ত আবার শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে আবার চক্রান্তের খেলা শুরু হয়েছে। যে চক্রান্তের খেলার কারণে আমাদের নেত্রীকে ছয় বছর জেলে থাকতে হয়েছে, এখনও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে। সেই চক্রান্ত আবার শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (অন্তর্বতী সরকার) ন্যূনতম যে সংস্কারগুলো করা দরকার, একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা ক্ষেত্রে, যেখানে সবার অংশগ্রহণ গ্রহণযোগ্য হবে। যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, এ সংকটের একমাত্র সমাধান হতে পারে সবার গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে আবার চক্রান্তের খেলা শুরু হয়েছে। যে চক্রান্তের খেলার কারণে আমাদের নেত্রীকে ছয় বছর জেলে থাকতে হয়েছে, এখনও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে। সেই চক্রান্ত আবার শুরু হয়েছে। যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী, যারা জোর গলায় বলতে পারে 'সবার আগে বাংলাদেশ' সেই দলের নেতাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। ইতিহাসে এ ঘটনা বহুবার হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই চক্রান্তকে কখনো সমর্থন দেবে না। বিএনপিকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা বহুবার হয়েছে, কখনোই ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একজনকে বের করতে পারলে দুইটা লোককে তারা সরিয়ে নিতে পারেনি। কারণ, বিএনপি যে রাজনীতি, এটা হচ্ছে এ দেশের মানুষের জনগণের রাজনীতি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে, সময়ের প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার আনতে হবে। তাই বলে, সংস্কারের নাম করে আমরা এমন কিছু হতে দিতে পারি না, যেটা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করবে। অন্তবর্তী সরকারকে আহ্বান করে তিনি বলেন, কাল বিলম্ব না করে এ সংকট থেকে মুক্ত করতে অতিদ্রুত নির্বাচন ব্যবস্থা করুন।
ছাত্রদলকে ভ্যানগার্ড আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সামনের যোদ্ধা তারা, ছাত্রদলকে এখন নলেজ বেস পলিটিক্স করতে হবে, জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। আমাদেরকে একটা সাইবার ওয়ার্ক করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের অবস্থান সবচেয়ে বেশি রাখতে হবে। এটা যদি আমরা না করতে পারি তাহলে এ যুদ্ধে আমরা হারিয়ে যাব। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভিটিস বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি বলেন, দেশ ও দেশের বাহিরে ষড়যন্ত্র চলছে এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মেধা মন দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে পারব বিশ্বাস রাখি।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সভাপতি আবদুর মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আহসান রাজিব, সাবেক ছাত্রদল নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন প্রমুখ।