খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ঢাকায়
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের বিশেষ বিমান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এটি অবতরণ করে।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী।
কাতারের আমিরের পাঠানো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে একটি ভাসমান হাসপাতাল বলা যেতে পারে। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকা ত্যাগ করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, কাতারে আমিরের পাঠানো ওই ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বু্ল্যান্স’হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা। একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স হলো একটি জরুরি বিমান পরিষেবা।
এতে সব জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর এবং ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে সজ্জিত। এটি শহর বা দেশের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের পরিবহণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই বিমানগুলোতে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প ও অন্যান্য জরুরি ওষুধ। বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থাকে।
এই বিশেষ বিমানে সব সময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার ও নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম। রোগীর আরামের জন্য এই বিমানগুলো খুবই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকে। বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, দীর্ঘ দূরত্বের বিমান যাত্রার ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দেশ ভেদে পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণত এয়ার মেডিকেল ইভাক্যুয়েশন পরিষেবার সাথে সম্পর্কিত খরচগুলো গণনা করা হয়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার দূরত্ব, রোগীর সাথে আসা লোকের সংখ্যা, জরুরি মাত্রা, রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর তা নির্ভর করে।