বায়ুদূষণ কমানো সময়সাপেক্ষ বিষয় : পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ কমানো একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়, যা অর্থনৈতিক সক্ষমতা, উন্নয়নের ধরন, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। আমাদের বায়ুদূষণের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসে বাইরের দেশ থেকে এবং ২৮ শতাংশ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা জরুরি।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প’ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানির মান উন্নয়ন ও রিফাইনারির সক্ষমতা না বাড়িয়ে, দূষণ কমানো সম্ভব না। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রিফাইনারি উন্নত হওয়ার পরও দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে। তাই বাংলাদেশকেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের প্রকল্প তখনই অর্থবহ হবে, যখন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দূষণ কমানোর স্পষ্ট অগ্রগতি দেখা যাবে। শুধু পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতির অবনতি তুলে ধরলেই চলবে না, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর একটি হটলাইন চালু করবে, যেখানে মানুষ শীতকালীন মাসগুলোতে বায়ুদূষণের অভিযোগ জানাতে পারবে।
‘সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানোর মাধ্যমে ধুলাবালি কমানো সম্ভব, যা পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই দেখা গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন আগামী বছর শীতকালে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়,’ বলেন উপদেষ্টা।
বায়ুদূষণ কমাতে কড়া অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, দূষিত ইটভাটাগুলোতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কিছু স্টিল কারখানা শীতকালে দুই থেকে তিন মাস বন্ধ রাখতে হতে পারে। এ ছাড়া ২০ বছরের পুরনো বাস রাস্তায় না চালানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।