কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক যুবদলনেতা তৌহিদুর ইসলামের মৃত্যু ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে নিহতের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।

তৌহিদুর ইসলাম আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। এদিন সকালে পাঁচথুবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে চারটি গাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে আসে। এসময় অবৈধ অস্ত্র আছে এমন অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্বজনরা জানান, ঘটনার পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারে তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ সময় নিহত তৌহিদের পুরো শরীরে বেদম আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় বরে দাবি স্বজনদের।

মানববন্ধনে তৌহিদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তি জানায়, গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটক মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪০) একইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।