বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন রাষ্ট্র তৈরি করব, যে রাষ্ট্রে আর কোনো দিন নিশিরাতের ভোট হবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ভোলা জেলা বিএনপির সমাবেশ জহির উদ্দিন স্বপন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ, শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিস্টদের দেশে ফেরত আসতে দিব না। যারা বলেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে গেলে পাঁচ লাখ মানুষ মারা যাবে।  ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশে কোনো সরকার ছিল না। তার পরও কোনো ধরনের হত্যা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ওই সময় বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে ও নির্দেশে বাংলাদেশে একটা অদৃশ্য সরকার চালিয়েছি আমরা।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে জহিরুদ্দিন স্বপন বলেন, যেটুকু সংস্কার দরকার তা দ্রুত শেষ করে জনগণের দেশ জনগণের হাতে হস্তান্তর করুন। আমরা এমন একটা নির্বাচন চাই যেখানে জনগণ ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে ভোট দিতে পারবে।

ভোলায় নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসবেক দলের রহিম হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে জহিরুদ্দিন স্বপন বলেন, ওই সময়ে ওসি আরমানসহ যারা ছিল সব হত্যাকারীকে পুলিশের পোশাকে আমরা দেখতে চাই না। ওই সময় ভোলায় যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বর্তমান সরকার একজন হত্যাকারীরও বিচার না করতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন

জহিরুদ্দিন স্বপন আরও বলেন, এমন কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দিব না যে কোনো শক্তিশালী রাষ্ট্রের পরাষ্ট্রমন্ত্রী  বসে থেকে নির্বাচন করবে। ওই নির্বাচন আর হতে দিব না। আমাদের দেশে যারা আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, দেশের রাজনীতিকে দখল করতে চায়, অর্থনীতিকে দখল করতে চায়, পানি সম্পদ ও সীমান্ত দখল করতে চায়—আমরা তাদের সতর্ক করে সাবধান করে দিতে চাই। আগামীতে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সব আন্তর্জাতিক চুক্তি নতুন করে পর্যবেক্ষণ করা হবে। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো চুক্তি বরদাস্ত করব না।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা শহরের মহাজনপট্টির জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বের সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নেতা হায়দার আলী লেলিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটনসহ জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতারা বক্তব্য দেন।

এর আগে সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল, প্লেকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। ৫ আগস্টের পর বিএনপির এই সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।