সংস্কারের গল্প বলে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই : আমীর খসরু

সংস্কারের গল্প বলে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। তাড়াতাড়ি নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় শুরু করুন এবং জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের বিএনপি মোকাবিলা করবে।
সংস্কারের কথা সাত বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘নতুন কোনো গল্প আমাদের শোনার দরকার নেই। দেড় বছর আগে তারেক রহমান সাহেব বিএনপিসহ যাদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, তাদের সবার সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নিয়ে সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছেন। যদি সংস্কারের খুব ইচ্ছে থাকে, তাহলে তারা যে কমিশনের রিপোর্টগুলো তৈরি করেছে, সেগুলো আমরা আগামী নির্বাচিত সংসদে পেশ করতে রাজি আছি। আগামী সংসদে সেগুলো আলোচনা হবে, বিবেচনা করবে। যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন করবে।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘যাঁরা ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে লাভবান হওয়ার চিন্তা করছেন, আপনারা মনে করছেন আপনারা এই সরকারের একটা অংশ হয়ে গেছেন। এই সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, তত দিন আপনারা লাভবান হবেন। আপনারা সরকারের অংশ হয়ে থাকবেন, সেটা তো হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, আপনি, আপনারা যাঁরা ক্ষমতার অংশ হিসেবে ক্ষমতা ভোগ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকেছেন, তাঁদের বলছি, পরিষ্কার করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সে যাঁরাই হোক, যদি আগামী দিনের সরকারে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাড়াতাড়ি নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় আপনারা চলে আসুন। আমরা তো আছিই নির্বাচনি প্রক্রিয়ায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মনে কিন্তু সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। আপনাদের কথাবার্তায়, আপনাদের উপদেষ্টাদের কথাবার্তা, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে মনে হয়, তাঁরা কোনো একদিকে ঝুঁকে যাচ্ছেন। সেই সন্দেহের উদ্রেক যদি হয়, বাংলাদেশের জনগণের কাছে আপনাদের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। আর যদি গ্রহণযোগ্যতা না থাকে, তাহলে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহপল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম হায়দার বিএসসি, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, কাজী মফিজুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো। সঞ্চালনা করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ।