বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে চরম বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এছাড়া কৃষি কাজে সেচসহ বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানাসহ আবাসনে লোডশেডিং হতে পারে।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটটি বয়লারের পাইপে ত্রুটির কারণে গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে, পাইপে ফাটল ও বিয়ারিং নষ্টের কারণে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটটি ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে অচল ইউনিট দুটি সচলের কাজ শুরু করা হয়েছে।
আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটে দৈনিক ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট করে এবং ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটে দৈনিক ১৬০ থেকে ১৭০ ইউনিট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতেন তারা।
আবু বকর সিদ্দিক আরও জানান, ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুই নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে।
একে একে তিনটি ইউনিট অচল হয়ে পড়ায় জাতীয় গ্রিডে কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না তারা। এতে শুধু কৃষিই নয়, শিল্প-কারখানা, আবাসনসহ বিদ্যুৎনির্ভর বিভিন্ন সেক্টরে কিছুটা বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। হতে পারে লোডশেডিং।
আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে এক এবং তিনি নম্বর ইউনিট দুটি সচল করতে কাজ শুরু করেছেন তারা। কবে নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কেন্দ্র ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেন্দ্রের প্রধান ওই প্রকৌশলী। তবে অল্প দিনের মধ্যে সচল করার আশা করছেন আবু বকর সিদ্দিক।