জয়নালের কণ্ঠে মুগ্ধ সবাই, জানেন ২৫ ধরনের পাখির ডাক

ময়না, টিয়া, ঘুঘু, শালিক, দোয়েলসহ প্রায় ২৫ ধরনের পাখির ডাক জানেন কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের কিষ্টুপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন। তার কণ্ঠে মুগ্ধ সবাই। ৫৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই মুখে বাজাতে পারেন যেকোনো গানের মিউজিক। সবার কাছে ‘পাখি জয়নাল’ নামে পরিচিত তিনি।
বৃদ্ধ, শিশু, কিশোরসহ সবার অত্যন্ত পছন্দের মানুষ জয়নাল। তাকে ঘিরে মানুষের অনেক আগ্রহ। তার প্রতিভা সবাইকে মুগ্ধ করে। জয়নাল আবেদীন দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে এলাকার বাজারে বিভিন্ন স্টলে, দোকানে সকল বয়সের মানুষদের বিভিন্ন ধরনের পাখির ডাক শুনিয়ে বিনোদন দেন। চায়ের দোকান কিংবা বাজারে তাকে দেখলে সকল বয়সী মানুষ ঘিরে ধরেন। তার সঙ্গে কৌতুক আর মজার গল্পে মেতে ওঠেন অনেকে। বাজারের দোকানিরা বলছেন, জয়নাল আবেদীন যে দোকানে বসেন সেই দোকানে বেড়ে যায় বেচাকেনা।
চৌগাংগা বাজারের চায়ের দোকানদার নজরুল মিয়া বলেন, ‘জয়নাল ভাই দোকানে চা খেতে বসলে তাকে দেখে আরও মানুষ এসে বসে। তিনি মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য মুখ দিয়ে বিভিন্ন পাখির ডাক দেন। এই বিষয়টা সবাই উপভোগ করেন। তার পাখির ডাক উপভোগ করতে গিয়ে আমার দোকানে বেশি বেচাকেনা হয়। মানুষ জয়নাল ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করতে করতে চা, সিগারেট, বিস্কুট খেয়ে থাকেন।’
চৌগাংগা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ বলেন, জয়নাল কাকা ছোটবড় সবার কাছে পাখি জয়নাল নামে পরিচিত। তাকে দেখলেই সবাই আবদার করে পাখির ডাক শোনানোর জন্য। তার যে প্রতিভা এটা প্রশংসনীয়। তিনি খুব সহজ সরল ভালো মানুষ। সবাই তাকে ভালোবাসে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, অনেক দিন ধরে একটি-দুটি করে পাখির ডাক আয়ত্ত করতে করতে আজ প্রায় ২০ থেকে ২৫টি পাখির ডাকসহ বিভিন্ন মিউজিক রপ্ত করেছেন। তিনি কবিতা ও গান পারেন। তার এ প্রতিভা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হলেও জীবন নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তার।