মাগুরায় শিশু ধর্ষণের দুদিন পর থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের দুদিন পর মাগুরা সদর থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, আজ শনিবার দুপুর তিনটার দিকে ধর্ষিত শিশুর মা বাদী হয়ে চারজন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা (মামলা নং ১৪ তারিখ ০৮.০৩.২০২৫) দায়ের করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখ (৪২), দুলাভাই সজীব শেখ (২২), তার বড় ভাই রাতুল শেখ ও রাতুলের স্ত্রী জায়েদা খাতুন। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে থাকায় মামলা রুজু করতে দেরি হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মাগুরায় সাধারণ ছাত্র-জনতা গতকাল শুক্রবার মাগুরা সদর থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে। অন্যদিকে শনিবার মানববন্ধন করেছে দুটি নারী সংগঠন। দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মাগুরা জেলা শাখা এবং সদর হাসপাতালের সামনে মাগুরা জেলা মহিলা দলের কয়েকশ নারী সদস্য।
উল্লেখ্য, মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোন জামাই সজীব শেখের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে তৃতীয় শ্রেণির শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর অভিযুক্ত হিটু শেখকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করলে এলাকাবাসী শান্ত হয়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের ওই শিশু কয়েক দিন আগে আপন বোনের বাড়ি সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি মাঠপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। আসার পর থেকেই বোনের শ্বশুর লম্পট হিটু শেখের কুনজরে পড়ে শিশুটি। গত বুধবার রাতে শিশুটি ঘুমিয়ে থাকলে ভোর রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।