ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহরণ হওয়া যুবককে উদ্ধার, আটক ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে অপহরণ হওয়া রিফাত মিয়াকে (১৯) উদ্ধার করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি যৌথ দল।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে রিফাত মিয়া নামের ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার মূলহোতা রেজাউলকে (৩২) আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটক রেজাউল কসবা পৌর এলাকার দক্ষিণ কসবা গ্রামের বাসিন্দা।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ডিজিএফআইয়ের সদস্য পরিচয় দিয়ে রিফাতকে তুলে নেওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিক্টিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক রেজাউল প্রাথমিকভাবে যৌথবাহিনীর কাছে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অপহরণ হওয়া যুবক রিফাতের আত্মীয় মিঠু বলেন, সোমবার রাতে নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের আহমেদপুর গ্রামে বেয়াই রিফাতকে ডিজিএফআইয়ের পরিচয়ে তুলে নেয় একদল দুর্বৃত্ত। রিফাতের পরিবার থানা-পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও দুর্বৃত্তরা পুলিশের সামনেই বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং একপর্যায়ে রিফাত মিয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
সেদিনই রাত ৩টার দিকে রিফাতের বাবা প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ফোনে অপহরণকারীরা কল করে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন ৮ এপ্রিল সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে আবার কল দিয়ে মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অপহরণকারীরা নিজেদের ডিজিএফআইয়ের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
রিফাতের বাবা শহিদুল ইসলাম মালু বলেন, ‘আমি পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি, মাইকিং করার কথা বলেছি। কিন্তু ওসি নিষেধ করেন। পুলিশ সামনে থেকেও কোনো বাঁধা দেয়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, অপহরণকৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে।