মোরশেদ আলম দাঁড়িয়ে থেকে গুলির নির্দেশ দেন : জয়নুল আবদিন ফারুক
অনেক ইতিহাস। ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট, রাতের সরকার’, ২০২৪ সালে ‘ভাই ভাইয়ের’ সরকার। ২০১৪ সালে থেকে শুরু, ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সরকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে একদিনও আমি বাড়ি থেকে প্রচার-প্রচারণার জন্য বের হতে পারিনি। একদিন নিজ এলাকার কয়েকজন মুরব্বির কাছে আমরা ভোটের অবস্থা বলার জন্য গেলে সেখানেও আমরা ওপর অতর্কিত পুলিশি হামলা ও গুলি চালানো হয়। সেই গুলির নির্দেশদাতা মোরশেদ আলমকে (বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান) গত পরশুদিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে বিনাভোটের এমপি। সে নিজে দাঁড়িয়ে গুলির হুকুম দিয়েছেন। আমি তার থেকে ৫শ ফুট দূরে ছিলাম।
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরেন জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। এছাড়া চলমান রাজনীতি, নতুন রাজনৈতিক দল, কারা বিরোধীদল হবে, কারা ক্ষমতায় যাবেন— এসব ইস্যুতেও কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছে এনটিভি অনলাইনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মাহমুদুল হাসান।
এনটিভি : বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতি কোন পথে আছে?
জয়নুল আবদিন ফারুক : এ সময় প্রেক্ষাপটটা খুব জটিল যাচ্ছে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে যেটুকু বুঝে আসে। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, সংসদে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম বলেন, ভোটাধিকার বলেন, গণতন্ত্র বলেন— সবকিছুর আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। গত ১৬ বছর যে আন্দোলনটা ছিল গণতন্ত্র রক্ষা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার। একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরোধে আমরা আন্দোলনে ছিলাম। শত শত নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছে, শহীদ হয়েছে, হাজার হাজার মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরেছে হাসিনার আমলে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন যে আমরা তো কিছু করতে পারেন না। একটা দেশে সরকার যদি পুলিশি সরকারের হয়ে যায় তখনই কিছু করা যায় না। সরকার যদি জনগণের সেবার সরকার না হয়, তখনই কিছু করা যায় না। তবে তা বৃথাও হয় না। একদিন না একদিন আন্দোলন বিপ্লবে রূপান্তরিত হয়। যা হয়েছে জুলাই- আগস্টে। সেখানে এখন যারা নিজেদের একক দাবিদার মনে করে, যারা এককভাবে করেছে দাবি করে— এটা জনগণ গ্রহণ করেনি, করবেও না বলে আমি বিশ্বাস করি। সে কারণে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখন তো আন্দোলন নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার এখন কোনো মন-মানসিকতাও বিএনপির নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে। উনি (ড.ইউনূস) আশ্বস্ত করেছেন জনগণের ভোটাধিকার ফেরত দিবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেল, মানুষের মনে সংশয় আছে, মানুষের মধ্যে আশার আলো টিপটিপ করে নিভে যাচ্ছে বলে আমরা মনে হচ্ছে। এত দীর্ঘ সময় লাগার কথা না।
এনটিভি : বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সাক্ষাতের জন্য আগামী ১৬ তারিখ সময়ও দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কথা হচ্ছে...
জয়নুল আবদিন ফারুক : দেখুন, আমি যতটুকু দেখেছি বা শুনতে পাচ্ছি, মিডিয়া ও রাজনৈতিক আলাপ আলোচনায়, টকশোতে বিএনপি অনেক কিছু এই সরকারের কাছে তুলে ধরেছে। জনগণের কথাগুলো বলেছে। সেগুলোর কোনটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে, কোনটা হয়নি— সেটা সরকারের বিবেচ্য বিষয়। আগামী ১৬ তারিখ যে এপয়েন্টমেন্ট পেয়েছে, এটা মনে হয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য বলা হবে। আমার দৃষ্টিতে বলা এভাবে উচিৎ, আর দেরি করা যায় না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। একটু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে তাদের দাবি একটা রোডম্যাপ। এই রোডম্যাপটা দেওয়া উচিৎ।
এনটিভি : আপনাদের পক্ষ থেকে কি কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ...
জয়নুল আবদিন ফারুক : সুনির্দিষ্ট তারিখ আমরা তো আগেই বলেছিলাম। আমাদের সালাহউদ্দিন আহমদ (স্থায়ী কমিটির সদস্য) বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টে দিকে হলে ভালো হতো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ডিসেম্বর। ডিসেম্বর হলে মনে হয় না অযৌক্তিক হবে, আমি মনে করি।
এনটিভি : অনেকে অভিযোগ করছেন— ৫ আগস্ট বিএনপি সরকার পতন ঘটাতে পারিনি, দলটি আন্দোলনে ছিল না, তারা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করে।
জয়নুল আবদিন ফারুক : দেখুন, নির্বাচন চাই আজকে নতুন নয়। আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া একটা সুষ্ঠু ভোট হউক। দিনের ভোট দিনে হউক। দিনের ভোট যাতে রাতে না হয়। কবর থেকে উঠে এসে যেন কেউ ভোট না দেয়। এটা তো দীর্ঘদিন বলে আসছি। কিন্তু আমাদেরকে দোষারোপ করা হয়, আমরা সরকারের পতন ঘটাতে পারিনি। আমাদের ছাড়া কি এই সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছে? এখন এই কথা জনগণ বলা শুরু করেছে। এটা আমরা কথা না, জনগণের কথা।
এভাবে উত্তর দিতে চাই— নির্বাচন নির্বাচন আমরা করি না। নির্বাচন চাই ১৯৯১ সালের মতো, যেন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। দিনের ভোটে রাতে করে কোনো ফ্যাসিস্ট যেন না আসে। কিন্তু যারা বলে, আমাদের আগেই তারা নমিনেশন ঠিক করে দিচ্ছে, মসজিদে বসে বেহেশতের টিকেট দিচ্ছে— এটা তো একটা শিরক, গুনাহ। বেহেশত দেওয়ার মালিক তো আল্লাহ। বেহেশতে যাওয়ার কাজ করে থাকি তাহলে আল্লাহ আমাদের বেহেশতে নিয়ে যাবেন। আমি যদি এখানে বসে শিরক কাজ করে তাহলে তো আল্লাহ আমাকে বেহেশতে নেবেন না। এসব কথা যারা বলে তারা তো পোস্টার আর নমিনেশন আগেই ছেড়ে দিয়েছে।

এনটিভি : মিরাকল কিছু না ঘটলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তাহলে বিরোধীদল কে হবে?
জয়নুল আবদিন ফারুক : সেটা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। আগে নির্বাচন আসুক। অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য করে আমরা আন্দোলন করেছি। তাদেরকে বাইরে রেখে আমরা নির্বাচনে যাব না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি তাদেরকে নিয়ে করব। নিরপেক্ষ ভোট হলে যদি সরকারে যেতে পারি, তাদেরকে নিয়ে সরকার গঠন করব। অপজিশন কে হবে তা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বোঝা যাবে। নতুন একটি রাজনৈতিক দল হয়েছে এনসিপি। তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি, আসুন দেশের মানুষকে ম্যানিফেস্টো দেন— দেশের মানুষের জন্য কি করবেন, আপনাদের কি করার আছে। সেই শক্তি অনুযায়ী যারা আসার অপজিশনে আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে, এই কথা তো বলছি না। আমরা জনগণের কাছে যাব। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস আছে, আমাদের নেতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। আমাদের নেত্রী আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের নেতা তারেক রহমান দীর্ঘদিন বাইরে থেকেও দলকে সুসংগঠিত করেছেন। এখন যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আমরা দুই বছর আগেই সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। দেশের মানুষ আমাদের গ্রহণ করলে আমরা সরকার গঠন করব।
এনটিভি : এই মুহূর্তে আপনাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যদি বলেন, কাকে ভাবছেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : আমি এগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না। আগে নির্বাচন ডিক্লেয়ার্ড হউক। নতুন দল আছে, তাদের কর্মসূচি ঘোষণা হউক, তাদের নিবন্ধন হউক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে, তাদের ম্যানিফেস্টো কি তা আমরা দেখি। আর জামায়তে ইসলামী তো আছেই। তাদের ম্যানিফেস্টো দেখিছি। তাদের অতীতের কেচ্ছা-কাহিনী আমাদের কাছে আছে। নতুন করে তারা কি চাচ্ছেন সেটাও আমরা জানি। এগুলো আলোচনা করব, সমালোচনা করব যখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে।
এনটিভি : নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ দলটিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : আমরা কোনো পার্টিকে ছোট মনে করব না। যেহেতু আমি রাজনৈতিক কর্মী। আমি স্বাধীনতার একজন যোদ্ধা। সংসদে বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছি বেগম খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায়। বড় বড় নেতাদের সাথে চলে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা— নতুন করে নিবন্ধন নিয়ে এসে রাজনীতি করবে, জনগণ যদি তাদের ম্যানিফেস্টো গ্রহণ করে, তারা সরকারে যাবে নাকি বিরোধীদলের যাবে, তা জনগণ বিচার-বিবেচনা করে। আমি বিচার-বিবেচনা করার কেউ না।
এনটিভি : এক সময় বিএনপির বড় প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগ। এই দলটি এখন রাজনীতি করতে পারছে না। তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে...
জয়নুল আবদিন ফারুক : এই বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন কথা হচ্ছে। কেউ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাচ্ছে আইনগতভাবে। যেভাবে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টের মতো করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দোষারোপ করে নিষিদ্ধ করেছে। এমন একটা জিনিস দেশে থাকা উচিৎ না। এটা আইনগত ব্যাপার কিন্তু জনগণ যখন বলতে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই, এটা গ্রহণ করা উচিৎ। এখন পর্যন্ত জনগণের কাছে যেতেই পারলাম না। নির্বাচন দিলে যেতে পারতাম, এসব ইস্যু নিয়ে কথা বলতে পারতাম। একটা দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে নই।
এনটিভি : বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ থাকার সময় আপনার ওপর সংসদ ভবনের সামনে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। সেই ঘটনা কি এখনও আপনাকে ভাবায়?
জয়নুল আবদিন ফারুক : আগেই বলেছি, যে সরকারের সময় ঘটনা ঘটেছে, এটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল। কিছু কিছু উচ্চাভিলাষী পুলিশ অফিসার সরকারের কাছে যাওয়ার জন্য কতগুলো অঘটন ঘটিয়েছে, তার মধ্যে এটা অন্যমত ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছি, সেখানে হামলা হলো। আমরা তো কোনো গাড়ি ভাঙিনি, অন্যায়ভাবে আমাদেরওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা নাকি গাড়ি ভাঙচুর করেছি। আমরা নাকি গাড়ি ওপর ঢিলা মেরেছি। পুলিশের হারুন-বিপ্লব-মেহেদী গংরা আমাদের ওপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে— একটা কলঙ্কজনক অধ্যায় বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে। যা পুলিশের করা উচিৎ ছিল না। এটা আমাকে মাঝে মাঝে বেদনা দেয়। আমি একটা মামলাও করেছি হারুন-বিপ্লবদের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও চলমান আছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

এনটিভি : কতদিন আগে মামলা করেছেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : দুই-তিন মাস হলো। এখন পর্যন্ত হারুনদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে পারিনি পুলিশ।
এনটিভি : নতুন কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা?
জয়নুল আবদিন ফারুক : আমি তো একটা মামলা করেছি, দেখি সেই মামলা কোনো পথে যায়। তারা গ্রেফতার হয় কিনা।
এনটিভি : সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আপনি অংশ নিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনের পরিবেশ কেমন ছিল?
জয়নুল আবদিন ফারুক : এটা তো অনেক ইতিহাস। ২০১৪ সালে থেকে শুরু, ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সরকার। ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট, রাতের সরকার’, ২০২৪ সালের ‘ভাই ভাইয়ের’ সরকার। এগুলো ইতিহাস। এগুলো সবাই জানে। ২০১৮ সালে হাসিনার আহ্বান সাড়া দিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আমি একদিনও আমার বাড়ি থেকে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার জন্য বের হতে পারিনি। আমরা বাড়ির সামনে এক প্লাটুন বা অর্ধেক প্লাটুন পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতো। আমার বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। আমি দুই-একদিন বের হওয়ার সময় তৎকালীন ওসি বলতো, আপনি গাড়ির গ্লাস নামাতে পারবেন না। যেখানে যাবেন গ্লাস উঠিয়ে যাবেন।
একবার আমরা নিজের ইউনিয়নের একটি গ্রামে গিয়েছিলাম। কয়েকজন মুরব্বির কাছে ভোটের অবস্থা বলার জন্য। সেখানে আমার ওপর অতর্কিত পুলিশি হামলা ও গুলি চালানো হলো। সেই গুলির নির্দেশদাতা মোরশেদ আলম গত পরশুদিন গ্রেফতার হয়েছেন। মানে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে বিনাভোটের এমপি। সে নিজে দাঁড়িয়ে গুলির হুকুম দিয়েছে। আমি তার থেকে ৫শ ফুট দূরে ছিলাম। সেটা আমার এলাকা ছিল। আর সে গেছে অন্য একটা এলাকা থেকে। সোনাইমুড়ী থেকে। টাকা পয়সার খরচ করে নমিনেশন পেয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা ঘটনায়ও একটা মামলা হয়েছে। সেনবাগে গতকাল মামলা হয়েছে।
এনটিভি : কারা মামলা করেছে?
জয়নুল আবদিন ফারুক : আমার দলের লোকজন মামলা করেছে। বিশেষ করে মোরশেদ আলম এবং তখনকার ওসির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মোরশেদ আলম তার ছেলেকেও বিনাভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছিল। এগুলো অনেক ইতিহাস...। এলাকায় যেভাবে লুটপাট, কিশোর গ্যাঙ যেভাবে তৈরি করেছে— সব জানা আছে।
এনটিভি : দেশবাসীর জন্য কি বার্তা দেবেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : দেশের স্বাধীনতার ৫৫ বছর পার হয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যাশা, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকার আসুক। যে সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করবে না। দেশের গণতন্ত্র ফেরত দেবে। যে সরকার দেশের মানুষকে সুখে রাখবে। এই বয়সে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এটাই আমরা প্রত্যাশা।