দীপু মনি দম্পতির ২২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নামে থাকা ১৮টি ও তার স্বামী তাওফিক নেওয়াজের চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ছয় কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭১ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের করা পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দীপু মনি দম্পতি ছাড়া নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দীপু মনি ও তার স্বামীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
দিপু মনির বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, দীপু মনি, তৈমুর নাওয়াজ ও জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ নামে অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবগুলোতে বিপুল অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার এসব সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
তাওফিক নেওয়াজের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, তাওফিক নেওয়াজের ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন মর্মে তদন্তের সময় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই সম্পদগুলো অবরুদ্ধ করা আবশ্যক। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দীপু মনির ১৬টি ব্যাংক অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে দুই কোটি ৩৯ লাখ পাঁচ হাজার ৫০২ টাকা ছিল।
এদিকে, নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন। আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাসজমি দখলের মাধ্যমে পাঁচতলা স্থায়ী বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ ও সন্দেহজনক লেনদেন বা মানি লন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানের সময় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।