ছাত্রদলনেতা হত্যায় যুবদলের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন হত্যা মামলার আসামি এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এনায়েতপুর থানায় জহুরুল ইসলামকে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানি বলেন, ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে গত ২২ মার্চ এনায়েতপুর থানায় ২৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জহুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্টের পর মামলার ১০নং আসামি জাবেদ শেখ এলাকায় এসে মামলার অন্য আসামিদের সাথে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অর্থ উপার্জন করে আসছে। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন্য সাবেক ছাত্রদলনেতা কবির হোসেন আসামিদের বলতে গেলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকি প্রদান করে।
গত ১৮ মার্চ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডের আয়োজনে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আসামিরাও একই স্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিল আহ্বান করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নির্দেশে ইফতার মাহফিলের স্থান করোনা বাজারে স্থানান্তরিত করা হয়। নিহত ছাত্রদল নেতাসহ অন্যান্য নেতারা ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলসহ অন্যান্য সামগ্রী সরাতে গেলে আসামিরা বাধা দেয়। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা করলে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতাকে প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতার ভাই আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।