ইসির সামনে লিখিত পরীক্ষার দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

রাজধানীর নির্বাচন কমিশনের সামনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে লিখিত পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন প্রার্থীরা। তাদের দাবি, দ্রুত লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে। এর আগেও তারা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ৫০ জনের মতো চাকরিপ্রত্যাশী এ সমাবেশ করেন।
নিজেকে চাকরিপ্রার্থী দাবি করে মো. মিজানুর রহমান নামে এক বিক্ষোভকারী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে এসে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। তবে তার রোল নম্বর জানতে চাইলে বলেন, রোল নম্বর জানি না। কমিশন চাইলে জবাব দেব।
ঢাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। তিনিও বিক্ষোভে অংশ নেন। বলেন, আমি প্রিলি পরীক্ষায় পাস করেছি। কিন্তু, ইসি থেকে আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ দেখছি না। সেজন্য এখানে আসা। আমার বয়স শেষ হতে চলল।
সরেজমিন দেখা যায়, অনধিক ৫০ জনের মতো বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তারা নির্বাচন ভবনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছে। ভেতরে ইসির কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমনকি সাংবাদিকদেরও ভেতর ঢুকতে হচ্ছে আইডি কার্ড দেখিয়ে। তারা প্রবেশদ্বারের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা হাসিব জানান, তিনি এসেছেন পরীক্ষার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করতে। কিন্তু অজানা কারণে আমাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।
তারেক নামের আরেক পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভে এসে বলেন, আমাদের ২০১৯ সালের পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন না করে নতুন নিয়োগের কথা ভাবছে কমিশন। তাই আমরা এই বিক্ষোভ করছি। আমরা এর আগে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছি। কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
শূন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, যেসব পদ ফাঁকা রয়েছে সেগুলো পূরণের কার্যক্রম চলছে। বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ২০১৯ সালের সার্কুলার হলেও প্রিলি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ১৬ জুন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ। এ ছাড়া নতুন করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৫৫ জন (৯ এপ্রিল ২০২৫)।
এদিকে ২০১৯ সালের প্রিলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা দুবার স্থগিত করা হয়।