ফাইল আটকে ঘুষ নেওয়ায় মাউশি অফিসে দুদকের অভিযান

ফাইল আটকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় নতুন এমপিওভুক্তির আবেদনের ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের একটি দল। জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
মাউশির কলেজ শাখার উপপরিচালক আলমগীর কবির টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
দুদকের অভিযানে দেখা গেছে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১৫২টি আবেদন জমা পড়েছিল। ফাইল প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়। এর মধ্যে ৪৭টি শর্ত পূরণ করতে না পারায় বাতিল হয়। এরপর পরিচালক ফাইলগুলো সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান, যিনি সেগুলো উপপরিচালক আলমগীর কবিরের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তবে আলমগীর কবির ৯২টি ফাইল পরিচালকের কাছে ফেরত পাঠাননি।
অভিযোগ রয়েছে, এমপিওভুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে অন্তত লাখ টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল পাঠানো হয় না। এর আগে গত ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে দুদক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল।
এ বিষয়ে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠাতে বলা হয়। আলমগীর কবির নানা অজুহাতে তা করেন না। যদিও তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগপত্র পাঠানো হয়নি। তবে বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়েছিল।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে আরও ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।