১৫ দিনের যোদ্ধারা ১৫ বছরের মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অস্বীকার করছে : সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, ১৫ দিনের যোদ্ধারা ১৫ বছরের মুক্তিযোদ্ধাদের সব অবদান অস্বীকার করে বলছে তাদের কোনো অবদান নাই। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তাড়াইল সাচাইল দারুল হুদা কাছেমুল উলুম মাদরাসা মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘১৫ দিনের মুক্তিযোদ্ধারা অন্য সবার অবদান অস্বীকার করে বলছে তারাই সবকিছু করেছে, অন্যরা কিছু করেনি।’
ছাত্ররা উপদেষ্টা হয়ে বড় ভুল করেছে মন্তব্য করে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা চাই ছাত্রনেতারা হোক নির্লোভ ও আদর্শবান। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ছাত্র রাজনীতির নামে দুর্নীতি আর ক্ষমতার লোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যারা ছাত্রদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, তারা দেশের বিরাট ক্ষতি করছে। আজ যখন দেখি আমাদের ছোট ভাইদের কেউ পিএস, কেউ এপিএস হয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, তখন খুব কষ্ট লাগে। মানুষ এখন ছাত্রনেতাদের দিকে অবিশ্বাসের চোখে তাকায়।’
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। এটা কি অন্যায়? বিএনপি নির্বাচন চাইলেই বলা হয়, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে অসুবিধা কোথায়? তাহলে কি বিএনপি ক্ষমতায় যাবে বলেই অন্যরা নির্বাচনের বিরোধী করছেন?’
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘আমরা আন্দোলন স্থগিত রেখেছি, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, গত ১৫ বছরে আমরা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। বর্তমানেও আন্দোলন বন্ধ করে দেইনি। সীমা অতিক্রম করলে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি। বিএনপি ছাড়া কোনো দল সাহস করেনি আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামার।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম। তাড়াইল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছাইদুজ্জামান মোস্তফার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
১১ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে ঘিরে দিনভর নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে স্লোগান মুখর নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে জড়ো হন। দুপুরের মধ্যেই মাদ্রাসা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এর আগে সম্মেলন অনুষ্ঠানের নির্ধারিত তারিখ ছিল গত ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একজন দলীয় কর্মী নিহত হলে সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়।