রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় উপজেলার চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আজ শুক্রবার (২ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও জামাল হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউপি-১ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহি স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অনুকূলে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা এবং নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্য ব্যক্তিকে হস্তান্তর, সচেতনতার অভাব, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য আবু তাহেরকে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
বরখাস্ত হওয়া চিওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ‘দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার কারণে আমাকে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে ইউএনও অফিস সূত্রে জানতে পেরেছি। চিঠি হাতে পেলে বিস্তারিত বলতে পারব।’
জানা গেছে, গত বছরের ১১ জুন ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিয়েতনামে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ হুমায়রা ও শারমিন আক্তার নামের দুজন রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুন কুমিল্লার ডিএসবির উপপরিদর্শক ইমাম হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন। মামলার পর ২৭ জুন থানার পুলিশ হুমায়রা ও শারমিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
থানা সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা নারী হুমায়রা ও শারমিন উপজেলার চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিমাতলী গ্রামের কাজী শামছুল হকের ছেলে কাজী খবির উদ্দিনকে পিতা সাজিয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুটি জন্মসনদ তৈরি করেন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে ভিয়েতনামে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন।