শাপলা চত্বরের সেই সমাবেশে নিহত অন্তত ৫৮ জন : আজাদ মজুমদার

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সেই সমাবেশের স্মৃতিচারণ করলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
কী ঘটেছিল ২০১৩ সালের ৫ মে’র সেই সমাবেশে? স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব দাবি করেন, ৫ মে কেন্দ্রিক দুই দিনের সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হন, এদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যও ছিলেন।
আজ শনিবার (৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার পোস্টে বলেন, যখনই হেফাজতে ইসলামের কোনো বড় ধরনের সমাবেশ দেখি, তখনই মনে পড়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার করা শাপলা চত্বর গণহত্যার তদন্ত কাজের কথা। পুরো বিশ্ব যখন এই হত্যাকাণ্ডে কতজন নিহত হয়েছেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত ছিল, আমি তখন ঢাকাভিত্তিক সাবেক বিবিসি সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে মিলিত হয়ে এই কঠিন কাজ হাতে নিয়েছিলাম। আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যে, দুই দিনের ওই সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন মানুষ নিহত হয়েছিল, এদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যও ছিলেন।
তিনি লিখেন, আপনারা যারা এখন সাংবাদিকতার জগতে পা রেখেছেন, মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন— আপনারা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না, সেই সময় কতটা কঠিন ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তে আমরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি, হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় খোঁজ করেছি, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শুনেছি, দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করেছি।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও লিখেন, তখন সবসময় একটা ভয় বয়ে বেড়িয়েছি, যদি নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে পড়ে যাই, যদি নিখোঁজ হয়ে যাই। নিরাপত্তাজনিত কারণে এতদিন আমি কখনও এই কাজের স্বীকৃতি নিতে পারিনি। কিন্তু যখন কোনো সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজ রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন, তখন সত্যিই এক অদ্ভুত আনন্দ পাই।