গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৯ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফুকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার উত্তর মোল্লাবাড়ী গ্রামের জাহিদুল মোল্লার ছেলে ট্রাক চালক শামীম মোল্লা (২৫), খুলনার দাকোপ থানার উত্তর বানিয়াশান্তা গ্রামের নিরাপদ সরকারের ছেলে বাস যাত্রী মানস সরকার (৪০) ও একই জেলার ডুমুরিয়া থানার উলা মোল্লাবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে বাসের হেলপার মো. রাব্বি হাসান মোল্লা (১৮)।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ জানান, বাগেরহাটের মোংলা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী নিউ বলেশ্বর পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি কাশিয়ানীর ফুকরা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালক শামীম মোল্লা এবং বাসযাত্রী মানস সরকার মারা যান। আহত হন অন্তত ২০ জন।
এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও একজনকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে বাসের হেলপার রাব্বি হাসান গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান। আহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর সদস্য ইমরুল হক ইমরানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনায় মহাসড়কে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দুটি সরিয়ে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাশিয়ানী ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, নিহতদের মধ্যে শামীম মোল্লা ও মানস সরকারের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর রাব্বি হাসানের পরিবারের সদস্যরা আসার পর তার মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।