বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বলি হতে চলছে : হাফিজ উদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য ১৯৭১ সালে নয় মাস যুদ্ধ করেছি। আজকে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশে গণতন্ত্র নেই। সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। সামিরক বাহিনীর প্রধান হয়ে নির্বাচন চান। আর যারা ক্ষমতায় আছেন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে চান না। নির্বাচনের কথা বলেন না। দুনিয়ার কথা বলেন, সংস্কার করবেন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বলি হতে চলছে। বাংলাদেশকে যুদ্ধে লিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কী সংস্কার করবেন? সংস্কার করার জন্য একমাত্র অধিকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। একজন বলে আমরা এই সংস্কার করবো। কয়েকজন নাবালক ছাত্র বলে আমরা ওই সংস্কার করবো। এভাবে কী বাংলাদেশ চলবে? এই জন্য কী আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। এই জন্য কি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন? আমরা তো এটা মানতে পারব না। এত বছর পরও গণতন্ত্রের দেখা নাই। নাম নিশানা নাই। একটা দল ও তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তি বারংবার বাংলাদেশকে বিপদে ফেলাচ্ছে।
মেজর হাফিজ আরও বলেন, আজকে দেশের একমাত্র বড় দল বিএনপির ওপর দায়িত্ব বর্তায়। আমরা জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে যে গণতন্ত্রের জন্য ১৯৭১ সালে লাড়াই করেছি, ২০২৫ সালে এসে জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাল্লাহ।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, এই যে এক সরকার আছে, এতগুলো শিক্ষিত ব্যক্তি। এর মধ্যে মাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধা আছে। বাকিদের এত নামধাম শুনি, দেশের জন্য এদের কী অবদান আছে? কত সংগ্রামই হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি; এদের কাউকে তো কোনো সংগ্রামে দেখিনি। বিগত ১৭ বছর স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে বাংলাদেশের ওপর। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় জেলে গিয়েছে। খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। কই এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে, ফেসবুকে একটা পোস্ট দেয়নি, কোনো দিন প্রতিবাদ করতে দেখিনি। অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস আজকে তারাই বাংলাদেশের ভাগ্য নির্মাতা বনে গেছেন। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে চায়। যাদের বাংলাদেশের জনগণের জন্য কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই। এগুলো হলো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বলি হতে চলছে। বাংলাদেশকে যুদ্ধে লিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও কোনো কোনো উপদেষ্টা বলছেন, মানবিক করিডর দিতে হবে। কীসের জন্য জনগণের জানার অধিকার নেই? আমাদের দেশে একটি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কী জানতে পারবে না? অথচ দেশে একটি সরকার আছে। বাংলাদেশের মানুষকে আমার মনে হয় আরও দীর্ঘদিন সংগ্রাম করতে হবে।