ইতালি পাঠানোর নামে যুবককে লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর নামে ছানোয়ার নামের এক যুবককে লিবিয়ার এক নির্জন স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের হাসানহাটি গ্রামের আলামিন ও জহিরের বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার (৩১ মে) সকালে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি বিস্তারিত জানান ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী নার্গিস বেগম।
এর আগে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতারকের কবল থেকে স্বামীকে রক্ষার জন্য ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী নার্গিস বেগম গত বুধবার (২৯ মে) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে নার্গিস বেগম জানান, তার স্বামী ছানোয়ার হোসেন গত দুই বছর যাবত লিবিয়ায় কাজ করছিলেন। পরবর্তীতে আলামিনের সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি তার স্বামীকে লিবিয়া থেকে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখান। আলামিনের কথা মতো তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে নিজেদের ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ছয় লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে আলামিন তার স্বামীকে ইতালির পরিবর্তে লিবিয়ার অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে মুক্তিপণ বাবদ অতিরিক্ত পনের লাখ টাকা দাবি করে। ছানোয়ারকে নির্যাতন করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও পাঠায়।
ভুক্তভোগী ছানোয়ারের স্ত্রী নার্গিস বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে উদ্ধার ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করি দর্শনা থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথভাবে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার আজ বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিল। তাদের সার্বিক আইনি সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেছি। ভুক্তভোগী যদি দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়, আর দর্শনা থানা পুলিশ অভিযোগের কপিসহ আমাদের কাছে এসে কোনো সহযোগিতা চায়, তাহলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব ও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।