দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজও তিন নম্বরে ঢাকা

ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষ রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন। এখন রাজধানী ঢাকার চিরচেনা সেই রূপ নেই। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। আবার ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই বৃষ্টিও থেমে থেমে হচ্ছে। তারপরও ঢাকার বাতাস ভালো নেই। বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজও রয়েছে তিন নম্বরে।
আজ রোববার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার এ তথ্য জানিয়েছে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা চিলির সান্টিয়াগোর স্কোর ১৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। সেখানকার বায়ুর মান ১৬১, যা অস্বাস্থ্যকর। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার স্কোর ১৬০, এটিও অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার বায়ুর স্কোর ১৫৫।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।
আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’বলে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়