রাজধানীর মিরপুর ও ধানমণ্ডি থানার পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু এবং শেখ হাসিনার এপিএস আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এই আদেশ দেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে গত ২১ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন আমুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ মিরপুর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করাকালে আসামিদের ছোঁড়া গুলি মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে ভেতরে আটক থাকে। পরে বিকেলে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুলতান মাহমুদ গত বছরের ২৩ আগস্ট মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ দিকে ধানমণ্ডির হত্যা মামলার ঘটনায় গত ৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুল হক খান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মঞ্জুর করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমণ্ডির ঝিগাতলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি। ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন ভুক্তভোগী। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ধানমণ্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

এ মামলায় গোলাপ ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।