ইউটিউব দেখে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে অভাবনীয় সাফল্য

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন পৌর শহরের চন্ডিবের উত্তর এলাকার প্রান্তিক কৃষক ছগীর মিয়া। ইউটিউব দেখে থেকে শেখা আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির সহায়তায় তিনি এই সাফল্য অর্জন করেন। গ্রাফটিং চারা, মালচিং পদ্ধতি ও স্কাইনেট ব্যবহার করে তিনি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ছগীর মিয়া জানান, তিনি ইউটিউব দেখে উন্নত বিশ্বের গ্রাফটিং চারা তৈরি, মালচিং পদ্ধতি এবং স্কাইনেট ব্যবহারের কৌশল শিখে নিজের ৩৫ শতক জমিতে তা বাস্তবায়ন করেন। এতে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়।
গ্রাফটিং চারা তৈরিতে দুটি টমেটো গাছের শক্তিশালী মূল ও ফল উৎপাদনকারী অংশ একত্রিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ফলন এবং গাছের স্থায়িত্ব বাড়ানো যায়। মালচিং পদ্ধতিতে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা, আগাছা নিয়ন্ত্রণ ও মাটির উর্বরতা রক্ষা করা সম্ভব হয়। আর স্কাইনেট ব্যবহারে রোদ-বৃষ্টি, পোকা-মাকড় ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ছগীর মিয়া জানান, তার জমিতে এখন টমেটোর ফুল ও ফলনে ভরপুর। প্রতিদিন তিনি এক থেকে দেড় মণ পর্যন্ত টমেটো সংগ্রহ করছেন। বাজারে চাহিদা থাকায় তিনি খুচরা প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা এবং পাইকারিতে ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৯০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন। আশা করছেন, সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বিক্রি হবে এবং খরচ বাদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাভ হবে।
ছগীর মিয়া বলেন, অনেকেই বলেন কৃষিতে আর লাভ নেই। কিন্তু আমি বলি, সঠিক পদ্ধতি জানলে কৃষিও লাভজনক হতে পারে। আমি সেই চেষ্টা করে সফল হয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, টমেটো সাধারণত শীতকালীন ফসল হলেও বর্তমানে গ্রীষ্মকালেও চাষ হচ্ছে। তবে গ্রাফটিং চারা, মালচিং এবং স্কাইনেট ব্যবহার করে চাষ করলে কৃষকরা নিশ্চিতভাবে লাভবান হবেন। ছগীর মিয়া তার প্রমাণ। আমাদের দপ্তর ছগীর মিয়ার মতো উদ্যোগী কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।