পানিতে ডুবছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ডুবতে শুরু করেছে রাঙামাটির ‘পর্যটনের আইকন’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতু- যা ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ নামেও পরিচিত। প্রতিবছরের মতো এবারও পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে সেতুটি। ইতোমধ্যেই সেতুর পাটাতনে প্রায় ৪ ইঞ্চি পানি উঠেছে।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, পানির নিচে চলে গেছে সেতুর একটি বড় অংশ। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। পানি বাড়তে থাকায় বুধবার সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সেতুর ওপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পর্যটন ঘাটের বোট চালক সমিতির নেতা রমজান আলী বলেন, এই সেতুটা ডুবে গেলে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে। এটা প্রায় প্রতিবছরই ঘটে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রাঙামাটি ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই পানিতে ডুবে যায় সেতুর পাটাতন। তাই বুধবার সকাল থেকে আমরা পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। সাধারণত পানি কমে যেতে এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে চালু হওয়া এই ঝুলন্ত সেতুটি বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতি বছরই পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে এ সময় পর্যটকদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এ সময় হ্রদে পানির স্বাভাবিক উচ্চতা হওয়া উচিত ৮৮.৪৯ মীনস সি লেভেল (এমএসএল)। বর্তমানে হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৫.২৬ এমএসএল, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে পাঁচটি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ২২০ মেগাওয়াট।