দেশের প্রথম ঝুলন্ত সেতু পরিদর্শনে কোরিয়ান প্রতিনিধি দল
চাঁদপুরে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন ও পরিবেশবান্ধব ঝুলন্ত (কেবল-স্টেড) মতলব-গজারিয়া সেতু। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের কালীপুর পাম্প হাউজ এলাকায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে এসে প্রকল্পস্থল পরিদর্শন করে কোরিয়ান প্রতিনিধি দল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণ হলে চাঁদপুর-ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে এর আগে পরিদর্শনে এসে জানিয়েছিলেন সড়ক ও সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব ভিখারুদৌল্লা।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। সেতুর দুই প্রান্তে ৭.৫১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, ২.২ কিলোমিটার নদী শাসন, একটি টোল প্লাজা এবং দুটি ওজন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতের নৌযান চলাচলে কোনো বাধা না দিতে সেতুর ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে ২৫ মিটার।
এই সেতু নকশায় বিশ্বমানের প্রকৌশল অনুসরণ করা হয়েছে। নদীর নাব্যতা, প্রবাহমানতা ও পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে সেতুর মূল প্রবাহে কোনো পিলার না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেতু প্রসঙ্গে ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, এই সেতু শুধু মতলব নয়, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা পাল্টে যাবে। এই সেতু দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি আনবে। শিল্পাঞ্চল, পর্যটন ও কর্মসংস্থানে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। সেতু হলে মতলব-গজারিয়া অঞ্চল রাজধানীর সঙ্গে দ্রুত যুক্ত হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান ফান্ডিং প্রতিনিধি দলের মিস্টার বিয়ন, মিস্টার পার্ক, মিস্টার সিন ও মো. বাবলু ভূঁইয়া, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি আজহারুল হক মুকুল, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপু এবং বিএনপি নেতা আনিসুল আউয়াল।

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর