‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাসে বেড়েছে দূষণ

গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের দূষণমান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতিদিনই একটু একটু করে তার অবনতি হচ্ছে। আজও অব্যাহত রয়েছে সেই ধারা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১১৩, সংবেদনশীল মানুষের জন্য যা অস্বাস্থ্যকর। তবে সকালের হালকা বৃষ্টির পর সাড়ে ৯টার দিকে তা কমে ৯৯-তে উন্নীত হয়। এই স্কোর ‘মাঝারি’ হলেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার একেবারেই কাছাকাছি।
৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। ৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই ছিল পাকিস্তানের করাচি।
তবে এই সময়ে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে ছিল দিল্লি ও লাহোর। ৮৪ ও ৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্দশ ও পঞ্চদশ স্থানে দেখা যায় শহর দুটিকে।
অন্যদিকে, একই সময়ে ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা। ১৫২, ১৪৮ ও ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরের তিনটি স্থান দখল করে রেখেছিল যথাক্রমে বাহরাইনের মানামা, কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। আর গতকাল এই সময় ২৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে থাকা কাতারের রাজধানী দোহা আজ ১১৯ স্কোর নিয়ে ছিল তালিকার পঞ্চম স্থানে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।