সোহাগ পরিবহণে হামলা: এক আসামির রিমান্ড, আরেকজন কারাগারে

রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহণের সাতজনকে কুপিয়ে আহত করায় ঘটনায় রমনা থানায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় মো. পারভেজ নামের এক যুবকের এক দিন রিমান্ড ও জয়নাল আবেদিন নামের আরেকজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই আদেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ মামলার তদন্তকর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান নাহিদ পারভেজের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন ও জয়নাল আবেদিনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ আদালতে শুনানি শেষে পারভেজের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন এবং অপর আসামি জয়নালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন সোহাগ গ্রুপের নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. আল আমিন। মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেনলসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, সোহাগ পরিবহণের কাউন্টারের সামনে এজাহারভুক্ত আকাশ ও রুমন ধূমপান করছিলেন। সোহাগ পরিবহণের তিন কর্মচারী তাদের সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে প্রধান আসামি বিল্লালের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে সোহাগ পরিবহণের মালিকের বাড়ির গ্যারেজের সামনের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের কাঁচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় সোহাগ কোম্পানির মালিকের ভাই ও কোম্পানির পরিচালক আলী হাসান তালুকদার, তার গাড়িচালক মাসুদ, কোম্পানির কর্মী হাসান তপন, ফরহাদ হোসেন, নাইমুর রহমান আদিব ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা সোহাগ পরিবহণের দুটি কাউন্টারে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা দুটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রির ১৭ হাজার ৫৭০ টাকা লুট করেন।