শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসির কাছে ফের আবেদন এনসিপির

এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না— ইসির এমন বক্তব্যের একদিন পরই পুনরায় অনুষ্ঠানিকভাবে শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসি সচিবের কাছে লেখা এনসিপির এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল, প্রতীক তালিকায় শাপলা না থাকায় এনসিপিকে বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে হবে। এর পরদিনই দলটি আগের মতো শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা বরাদ্দ চেয়ে নতুন আবেদন জমা দিয়েছে।
আজ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত আবেদনটি ইসি সচিবের কাছে পাঠানো হয়। দলের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় জানানো হয়, ইমেইলের মাধ্যমেও আবেদন পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি এখনও চিঠি দেখিনি। এনসিপি এর আগেও শাপলা প্রতীক চেয়ে আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছে। এখন চিঠি পেলে দেখব।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধান সংশোধনপূর্বক শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে তালিকাভুক্ত করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুকূলে শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানিয়ে এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে এই আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ভেটিং শেষে সংশোধিত প্রতীক তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে। এখন তা গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন বলছে, তালিকায় শাপলা না থাকায় এনসিপি ওই প্রতীক পাচ্ছে না। নিবন্ধন পেলে তাদের ১১৫টি নির্ধারিত প্রতীকের মধ্য থেকে একটি বেছে নিতে হবে।
নিবন্ধন প্রত্যাশী এই দলটি ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এনসিপি নেতারা বলছেন, নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী। আবার শাপলা প্রতীকের দাবিও ছাড়ছেন না।
দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম মঙ্গলবার বলেন, যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, তাই এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নাই। না হলে কোন নির্বাচন কীভাবে হয় আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নেব।