গুইমারায় সহিংসতায় নিহত ৩ জনের পরিচয় প্রকাশ

খাগড়াছড়িতে মারমা স্কুল ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’র অভিযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় খাগড়াছড়ির গুইমারায় নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ।
নিহত তিনজনই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে বসবাস করতেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। নিহত তিনজন হলেন- রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) ও চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী।
খাগড়াছড়িতে চলমান এ উত্তেজনা শুরু হয় বুধবার। আগের দিন রাতে ‘অচেতন অবস্থায়’ ক্ষেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতেই ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর মধ্যেই ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে খাগড়াছড়িতে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ‘পাহাড় থেকে সেনা হটাও’ ও ‘বাঙালির হটাও’ স্লোগান তোলা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঙালি ও পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। পরে এই আন্দোলন একসময় সহিংস হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। তবে রোববার ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা হয় এবং সেখানেই গুলিতে এই তিনজন নিহত হন।