সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় আলফু চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় এবার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন কাজী আব্দুল ওদুদ আলফু মিয়া।
আলফু মিয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সহসভাপতি। বালু-পাথর লুট ছাড়াও তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আলফু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে এবং তাকে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সাদা পাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটসহ বিভিন্ন স্থানে বেআইনি বালু উত্তোলনের ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলার শীর্ষ আসামি হলেন কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও আলফু চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু লুট করতেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও তিনি বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে লুটপাট চালিয়ে যান। ধলাই নদীর একটি বালু মহালের ইজারা পান আলফু চেয়ারম্যানের ভায়রা হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইজারার আড়ালে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সাদা পাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় প্রকাশ্যে লুটপাট চালানো হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে গুলি করে পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলীকে (৩৫) হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হক বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন, যেখানে কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। সে সময় দেশত্যাগকালে তাকে তামাবিল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।