ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় ১০৫ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ১-এর বিচারক মো. জুলফিকার উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।
মহানগর অতিরিক্ত আদালত ১-এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কানিজ ফাতিমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার ১১৪ জন আসামির মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। ১০৫ জন জীবিত আছেন। বাকিদের বিচার শুরু হলেও কোনো সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করতে পারেননি। ফলে আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম বলেন, চার্জশিটে উল্লেখ করা ১১৪ আসামির মধ্যে জামায়াতের প্রয়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ৯ জন মামলার বিচার চলাকালীন মারা যান। ফলে বাকি জীবিত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৫ জনে। রায়ের সময় ২৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরের দিন সকালে একটি ম্যানহোলে ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পরের দিন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে ৩৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আদালতে এক হাজার ২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জামায়াতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরীর আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সেক্রেটারি মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলাম, শিবিরকর্মী রুহুল আমিন, বাপ্পীসহ ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।