মিরপুরে আগুন, ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পাশাপাশি একটি গার্মেন্টস ও একটি কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সাততলা একটি গার্মেন্টসের ৪ তলায় আগুন লাগে। সেখান থেকে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ফায়ার সার্ভিস চার ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করলেও এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। পরে পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ডিউটি অফিসার আরও বলেন, সেখানে পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগেছে। একটি তৈরি পোশাক কারখানা, অন্যটি রাসায়নিকের গুদাম। পোশাক কারখানাটি সাততলা বিশিষ্ট। এর চারতলায় আগুন লেগেছে। আমরা পোশাক কারখানার আগুনটি মোটামুটি নিভিয়ে ফেলেছি। তবে রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ এখনো চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রূপনগরে পোশাক ও কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। এই দুই স্থাপনার আশপাশে আরও অনেক কারখানা আছে, ওইসব কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কারখানায় আগুন লাগার কারণে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং আগুনের কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তারা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে এবং যতটুকু পারা যায় কাছে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
রূপনগর থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতাযয়েন করা হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে। যাতে আগুন নেভানোর সময় এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ভেতরে কেউ আটকে আছে কি না এ ধরনের কোনো সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি এবং হতাহতের কোনো সংবাদও পাওয়া যায়নি।