স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে, স্বামীর দোষ স্বীকার

রাজধানীর কলাবাগানে গৃহবধূ তাসলিমাকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার মামলায় স্বামী নজরুল ইসলাম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান দোষ স্বীকারের পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আজ আসামি নজরুল ইসলামকে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে হাজির করে পুলিশ। এরপরে আসামিকে বিচারক তিন ঘণ্টা চিন্তাভাবনার সময় দেন। একপর্যায়ে আসামি দোষ স্বীকার করতে রাজি হলে বিচারক আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বংশাল থানার নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালে তাসলিমা ও আসামি নজরুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন আসামি নজরুল। এ নিয়ে গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। গেল ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিহত নারীর দুই মেয়ে তাদের মায়ের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া এবং বাবার অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ প্রকাশ করে কলাবাগান থানায় অভিযোগ করে। এরপর ওইদিন রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্ল্যাটের একটি ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমার মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার আগেই নিহত তাসলিমার স্বামী নজরুল ইসলাম পালিয়ে যান। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিন রাতে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা করেন।