বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের জন্য অর্ধশত আইন, নীতিমালা ও বিধিবিধান রয়েছে; যা বিশ্বের কোথাও নেই। এসব আইন সাংবাদিক ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাটি প্রেসক্লাব যশোরের শহীদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদ মিলনায়তনে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়।

কাদের গনি চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় দেশে সাংবাদিকতা বলে কিছু ছিল না।’ তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে সাংবাদিকদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন বা পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন। অনেক সাংবাদিক পদ-পদবি হারিয়েছেন। তিনি এই ঘটনাকে দুঃখজনক ও অস্বাভাবিক বিষয় আখ্যা দিয়ে বলেন, যারা পালিয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন কিংবা পদ হারিয়েছেন, তাদের লেজুড়বৃত্তি ও দালালি নিশ্চয়ই অযৌক্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তারা গণমাধ্যমকে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গায় ধরে রাখতে পারেননি। সরকারকে তুষ্ট করতে গিয়ে তারা জন-আকাঙ্ক্ষার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। এখানেই গণমাধ্যমকর্মীদের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন এবং সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন এবং দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক শান্তুনু ইসলাম সুমিত।